Hotline
333

Free Hotline

Select your language

Facebook Twitter Instagram

নিরাপদ থাকুন

নিরাপত্তাই প্রথম! সম্ভবত আপনি বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বা উচ্চশিক্ষায় যাবেন বা পরিবারের সদস্য কিংবা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কারণ যাই হোক না কেন, নিরাপদ থাকার জন্য নীচে বর্ণিত নিয়মগুলো অনুসরণ করুন:

জানতে হবে
অভিবাসনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, আপনি যেখানে কাজ করবেন বা অবস্থান করবেন, কাজের ধরন, সেখানে বসবাসের জায়গা ও কর্মস্থলের অবস্থা এবং সাংস্কৃতিক ও পারিপার্শিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথাসম্ভব খোঁজখবর করুন। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন, প্রয়োজনে এমআরসি’র সহায়তা নিন।

বৈধভাবে অভিবাসী হোন
ভিসা এবং অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভ্রমণের সিদ্ধান্ত আপনার জীবন বিপন্ন করে দিতে পারে। ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটসহ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র থাকলেই কেবল আপনি অভিবাসনের জন্য পা বাড়াতে পারেন। অবৈধ অভিবাসন আপনাকে বেশ কিছু ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে। যেমন- শোষণ কিংবা বিনা বেতনে কাজ করিয়ে নেয়া।

বিদেশে কোন কাজের প্রস্তাব পেলে, নিয়োগকর্তা সম্পর্কে আগে জানুন
সবাইকে বিশ্বাস করবেন না। বিদেশে কাজের ব্যাপারে যে রিক্রুটিং এজেন্সি আপনাকে সহায়তা করছে, তাদের সম্পর্কে যতটা পারেন খোঁজ খবর করুন। তাদের সুনাম কতটা? কাজের জন্য তাদের কি লাইসেন্স আছে? তারা আপনাকে বয়স সম্পর্কে মিথ্যে বলতে কিংবা চুক্তি ছাড়া কাজ করতে বলছে? ওয়ার্ক পারমিটের পরিবর্তে তারা কি আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিচ্ছেন?

কাজের প্রস্তাব গ্রহণের আগে চুক্তি সই করুন
চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগকারী ব্যক্তি কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সিকে চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলুন। চুক্তি ব্যতীত আপনার কাজ নিরাপদ নয়। চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন। নিয়োগকর্তা কতৃক স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রটি সাবলীল ভাষায় লিখিত হবে এবং বক্তব্য হবে স্পষ্ট।

আপনার কাগজপত্র সুরক্ষিত রাখুন
আপনার ব্যক্তিগত নথিপত্রগুলি নিরাপদে রাখুন। পাসপোর্ট, ভিসা, কাজের চুক্তি ইত্যাদি কাগজপত্র অবশ্যই ফটোকপি করে রাখবেন। আসল কাগজপত্রগুলি নিরাপদ স্থানে যত্ম সহকারে রাখুন এবং নিজের ও পরিবারের কাছে ফটোকপি সংরক্ষণ করুন। নিয়োগকর্তা বা নিয়োগ সংস্থা দাবি করলেও আপনার ব্যক্তিগত নথিপত্র তাদের হাতে তুলে দেবেন না।

জরুরী প্রয়োজনে
প্রস্তুতি নিন। স্থানীয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার, বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেট, এনজিও, ট্রেড ইউনিয়ন, অভিবাসীদের সমিতি এবং ঢাকা ও কুমিল্লার অভিবাসী রিসোর্স সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন নাম্বারগুলি সর্বদা আপনার সাথে রাখুন।

অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
কখনোই একা অবস্থান করবেন না। বাংলাদেশে আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। তাদের জানতে দিন আপনি সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আপনার কর্মস্থলে অন্য অভিবাসীদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন এবং নিয়মিত খোঁজ খবরের মধ্যে থাকুন। আপনার নিয়োগকর্তা এবং সহকর্মীদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। এভাবেই, নিরাপত্তার স্বার্থে একে অপরকে সহযোগিতা করুন।

নিজেকে রক্ষা করুন
যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে প্রথমেই বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন। পরামর্শ ও সুরক্ষা পেতে সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেট, এনজিও অথবা কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিন। আয় বুঝে ব্যয় করুন। পরিবারের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখুন তবে নিজের জন্যও কিছু অর্থ সংরক্ষণ করুন। বৈধ সংস্থার মাধ্যমে আপনার রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণ করুন।

আমাদের সেবা পেতে আপনাকে কোন অর্থ খরচ করতে হবে না। হ্যাঁ, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আমরা আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং কঠোরভাবে গোপনীয়তা নীতি মেনে চলা হয়।

আসুন আমাদের ঢাকা ও কুমিল্লা অফিসে। আমরা আপনার সেবায় নিয়োজিত!