বিদেশ যেতে চাই

ভাল! জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। আমরা আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করব। বিদেশে কাজ কিংবা বসবাসের অর্থ হল সাময়িকভাবে আপনাকে নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে পেছনে ফেলে যাওয়া। এর জন্য চিন্তাভাবনা করা, ভালো মন্দ উভয় দিক বিবেচনা করে, যথাযথভাবে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করার পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অভিবাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা আপনাক এবং আপনার পরিবারকে পরামর্শ দিতে পারি। বিভিন্ন বিষয়ে পথ নির্দেশনা এবং দিক নির্দেশনার মাধ্যমে আমরা আপনাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারি:


• বিদেশ গমনের প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা দেয়া।
• বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্পর্কে জানান।
• সরকারি পরিষেবাগুলি পেতে তথ্যগত সহায়তা করা।
• অন্যান্য পরিষেবা প্রদানকারীদের ব্যাপারে সুপারিশ করা।
• গন্তব্য দেশ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করা।
• দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া।
• আইনী, পেশাগত, মনস্তাত্তি¡ক এবং সামাজিক পরামর্শ প্রদান।
• অভিবাসীদের অধিকার এবং কর্তব্য সম্পর্কে জানান।
• বিদেশে অবস্থানকালে নিজেকে সুরক্ষার উপায় সম্পর্কে অবহিত করা ।
• বিপদে পড়লে কোথায় অভিযোগ করতে হবে সে সম্পর্কে তথ্য দেয়া।
• বিদেশি সংস্কৃতি, নিয়ম-কানুন এবং আইন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দেয়া।
• আর্থিক স্বচ্ছ্বলতা তৈরি করা।
• নতুন পরিবেশে কিভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখবেন তার কৌশল সম্পর্কে অবগত করা।
• নিরাপদ এবং সফল প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।


অভিবাসন তথ্য কেন্দ্রে আমাদের রয়েছে দক্ষ পরামর্শদাতা, যারা অভিবাসন বিশেষজ্ঞ। আপনার নিরাপদ এবং সফল অভিবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে তারা আপনাকে সময়োপযোগী এবং সঠিক তথ্য সরবরাহ করে থাকে। পরামর্শের জন্য আপনি সরাসরি এমআরসি’র অফিসে আসতে পারেন অথবা ফোন করে বা ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের মাধ্যমে পরামর্শ চাইতে পারেন।

আমাদের সকল পরিষেবা একদম ফ্রি! হ্যাঁ, সম্পূর্ণ ফ্রি। আমরা আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং কঠোরভাবে গোপনীয়তা নীতি মেনে চলা হয়।


আসুন আমাদের ঢাকা ও কুমিল্লা অফিসে। আমরা আপনার সেবায় নিয়োজিত!

নিরাপদ থাকুন

নিরাপত্তাই প্রথম! সম্ভবত আপনি বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বা উচ্চশিক্ষায় যাবেন বা পরিবারের সদস্য কিংবা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কারণ যাই হোক না কেন, নিরাপদ থাকার জন্য নীচে বর্ণিত নিয়মগুলো অনুসরণ করুন:

জানতে হবে
অভিবাসনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, আপনি যেখানে কাজ করবেন বা অবস্থান করবেন, কাজের ধরন, সেখানে বসবাসের জায়গা ও কর্মস্থলের অবস্থা এবং সাংস্কৃতিক ও পারিপার্শিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথাসম্ভব খোঁজখবর করুন। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন, প্রয়োজনে এমআরসি’র সহায়তা নিন।

বৈধভাবে অভিবাসী হোন
ভিসা এবং অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভ্রমণের সিদ্ধান্ত আপনার জীবন বিপন্ন করে দিতে পারে। ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটসহ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র থাকলেই কেবল আপনি অভিবাসনের জন্য পা বাড়াতে পারেন। অবৈধ অভিবাসন আপনাকে বেশ কিছু ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে। যেমন- শোষণ কিংবা বিনা বেতনে কাজ করিয়ে নেয়া।

বিদেশে কোন কাজের প্রস্তাব পেলে, নিয়োগকর্তা সম্পর্কে আগে জানুন
সবাইকে বিশ্বাস করবেন না। বিদেশে কাজের ব্যাপারে যে রিক্রুটিং এজেন্সি আপনাকে সহায়তা করছে, তাদের সম্পর্কে যতটা পারেন খোঁজ খবর করুন। তাদের সুনাম কতটা? কাজের জন্য তাদের কি লাইসেন্স আছে? তারা আপনাকে বয়স সম্পর্কে মিথ্যে বলতে কিংবা চুক্তি ছাড়া কাজ করতে বলছে? ওয়ার্ক পারমিটের পরিবর্তে তারা কি আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিচ্ছেন?

কাজের প্রস্তাব গ্রহণের আগে চুক্তি সই করুন
চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগকারী ব্যক্তি কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সিকে চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলুন। চুক্তি ব্যতীত আপনার কাজ নিরাপদ নয়। চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন। নিয়োগকর্তা কতৃক স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রটি সাবলীল ভাষায় লিখিত হবে এবং বক্তব্য হবে স্পষ্ট।

আপনার কাগজপত্র সুরক্ষিত রাখুন
আপনার ব্যক্তিগত নথিপত্রগুলি নিরাপদে রাখুন। পাসপোর্ট, ভিসা, কাজের চুক্তি ইত্যাদি কাগজপত্র অবশ্যই ফটোকপি করে রাখবেন। আসল কাগজপত্রগুলি নিরাপদ স্থানে যত্ম সহকারে রাখুন এবং নিজের ও পরিবারের কাছে ফটোকপি সংরক্ষণ করুন। নিয়োগকর্তা বা নিয়োগ সংস্থা দাবি করলেও আপনার ব্যক্তিগত নথিপত্র তাদের হাতে তুলে দেবেন না।

জরুরী প্রয়োজনে
প্রস্তুতি নিন। স্থানীয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার, বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেট, এনজিও, ট্রেড ইউনিয়ন, অভিবাসীদের সমিতি এবং ঢাকা ও কুমিল্লার অভিবাসী রিসোর্স সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন নাম্বারগুলি সর্বদা আপনার সাথে রাখুন।

অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
কখনোই একা অবস্থান করবেন না। বাংলাদেশে আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। তাদের জানতে দিন আপনি সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আপনার কর্মস্থলে অন্য অভিবাসীদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন এবং নিয়মিত খোঁজ খবরের মধ্যে থাকুন। আপনার নিয়োগকর্তা এবং সহকর্মীদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। এভাবেই, নিরাপত্তার স্বার্থে একে অপরকে সহযোগিতা করুন।

নিজেকে রক্ষা করুন
যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে প্রথমেই বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন। পরামর্শ ও সুরক্ষা পেতে সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেট, এনজিও অথবা কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিন। আয় বুঝে ব্যয় করুন। পরিবারের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখুন তবে নিজের জন্যও কিছু অর্থ সংরক্ষণ করুন। বৈধ সংস্থার মাধ্যমে আপনার রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণ করুন।

আমাদের সেবা পেতে আপনাকে কোন অর্থ খরচ করতে হবে না। হ্যাঁ, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আমরা আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং কঠোরভাবে গোপনীয়তা নীতি মেনে চলা হয়।

আসুন আমাদের ঢাকা ও কুমিল্লা অফিসে। আমরা আপনার সেবায় নিয়োজিত!

সচেতন হোন

বৈধ পাসপোর্ট, বৈধ ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, জনশক্তি ছাড়পত্র বা অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র বা অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র ব্যতীত যদি ভ্রমণ করেন তাহলে আপনি নিজেকে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন। যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া কোন দেশে প্রবেশ এবং অবস্থান করা সম্পূর্ণভাবে আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আপনি অবৈধভাবে অভিবাসী হয়েছেন এমনটাই প্রতীয়মান হবে। অবৈধ অভিবাসনের কারণে আপনি যে সব নেতিবাচক পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন সেগুলো হলো:

• চলাফেরার স্বাধীনতা হারাবেন
• সর্বদা পালিয়ে বেড়াতে হবে
• প্রকৃত বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হবেন
• নিয়োগকর্তা দ্বারা নির্যাতিত হতে পারেন
• মানব পাচারের শিকার হতে পারেন
• সহযোগিতা এবং সমর্থন থেকে বঞ্চিত হবেন
• আর্থিক ক্ষতি এবং মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন
• সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন
• গ্রেফতার এবং কারাদণ্ড হতে পারে
• মূল দেশে ফেরত না আসার সম্ভাবনা
• ভিসা প্রাপ্তিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন

সতর্ক হোন
অনেক দালাল বা মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন উপায়, কৌশল এবং পন্থা অবলম্বন করে তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চারিতার্থ করার চেষ্টা করে থাকে। এই মধ্যসত্ত্বভোগীরা নিবন্ধিত নিয়োগকারী নন এবং আইন কিংবা অন্য কোন স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা এদের কোন স্বীকৃতি নেই। তারা আপনাকে একটি ‘ফ্রি ভিসা’ অফার করতে পারে। বিদেশে ভালো বেতন এবং সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে এরা আপনাকে ভূয়া কাগজপত্র সরবরাহ করবেন। প্রলোভনের ফাঁদে পা দেবেন না।
রিক্রুটিং এজেন্সি সম্পর্কে সতর্ক এবং সজাগ থাকুন। তাদের নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষণের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে আপ টু ডেট থাকুন। এজেন্সির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দ্বিগুণ বা তিনগুণ খোঁজখবর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

সজাগ থাকুন
দালাল বা মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি প্রয়োজনীয় ফি’র অধিক অর্থ আপনার কাছে দাবি করতে পারে এবং বিদেশে ভ্রমণের সময় আপনার মূল্যবান জীবনকে হূমকির মধ্যে ফেলে তারা পালিয়ে যেতে পারে। অভিবাসনের প্রকৃত খরচ এবং পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আপনার নিকটতম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে সহজেই তথ্য পেতে পারেন।

অন্যান্য ঝুঁকির কারণ
আপনি যদি বৈধভাবে অন্য কোনও দেশে ভ্রমণ করেন এবং আপনার ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করেন তাহলে আপনি অবৈধ অভিবাসী হয়ে যাবেন। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে বিদেশে আপনি যে কোন মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে পারেন। আপনার যদি বিদেশে থাকার বৈধতা না থাকে তবে বাংলাদেশ সরকার চাইলে আপনাকে দেশে প্রবেশের অনুমতি নাও দিতে পারে।

সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে আমরা আপনাকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। চলে আসুন আমাদের এমআরসি বাংলাদেশের ঢাকা এবং কুমিল্লা কেন্দ্রে। আমরা আছি আপনার অপেক্ষায়।

দেশ ত্যাগের পূর্বে

দেশ ত্যাগের পূর্বে অভিবাসীর প্রথম কাজ প্রাক-প্রস্থান প্রশিক্ষণ নেয়া। যারা কর্মী হয়ে বিদেশ যাবেন তাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ নেয়া অনেকটা বাধ্যতামূলক। মাত্র দুইশ’ টাকা দিয়ে আপনি আপনার নিকটতম প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। মনে রাখবেন, বিমানে উঠার আগে অবশ্যই আপনাকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।

এমআরসিও বিদেশ গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের প্রস্থানের আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই সেশনগুলোতে, এমআরসি পরামর্শদাতারা অংশগ্রহণকারীদের নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কিত সবশেষ তথ্য সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেন। চাকুরি, স্থায়ী বসবাস বা শিক্ষাগ্রহণ যে কারণেই আপনি অভিবাসী হোন না কেন, আপনার জন্য জানা জরুরী এমন তথ্যগুলো সম্পর্কে আমরা আপনাকে স্বচ্ছ ধারনা দিয়ে থাকি।

এই তথ্যগুলি যেকোন স্মার্ট সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এবং বিদেশে নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আপনাকে নিশ্চিতভাবে সহায়তা করবে। বিভিন্ন করিগরি ও বৃত্তিমূলক ইনস্টিটিউট, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা নিয়মিতভাবে এ ধরনের সেশনের আয়োজন করে থাকি। এই সেশনগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি সাধারণত অভিবাসনের প্রবণতা, নিরাপদ অভিবাসনের সুবিধা, মানব পাচারের ঝুঁকি ও এর পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাবেন।

এ ধরনের সেশন ছাড়াও, বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় নিরাপদ অভিবাসনে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এমআরসি-বাংলাদেশ নিয়মিত সেশন আয়োজন করে থাকে।

এমআরসি’র সেশগুলোতে আপনি অংশ নিতে পারেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। হ্যাঁ, একদম বিনামূল্যে!

আপনি যদি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা এলাকার মানুষকে অভিবাসন সম্পর্কে সচেতন করতে চান তাহলে নির্দিদ্বায় যোগাযোগ চলে আসুন আমাদের এমআরসি ঢাকা এবং কুমিল্লা অফিসে।

সহযোগিতা পাবেন কোথায়?

আমরা আপনার মত লোক-যারা বাংলাদেশি নাগরিক; বিদেশ যেতে চান, প্রবাসে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন অথবা যারা দেশে ফিরে আসতে চান তাদেরকে সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নিয়ে আপনার জন্য কাজ করে থাকি। আমরা আপনাকে সঠিক সরকারী সংস্থা বা সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোতে পাঠিয়ে থাকি যারা বিদেশ গমন বিষয়ে তাদের দক্ষতা দিয়ে আপনাকে সহায়তা করবে। 

নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠান এবং পরিষেবাগুলি আপনার জন্য জরুরী হতে পারে:

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)
আপনি এখান থেকে আপনার জনশক্তি ছাড়পত্র/স্মার্ট কার্ড পেতে পারেন। আপনার যদি কোন অভিযোগ থাকে সেটিও আপনি এখানে করতে পারেন এবং তারা সালিশের মাধ্যমে এর সুরাহা করবেন। এটি ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত। বিএমইটি সম্পর্কে আরো জানতে নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/www.bmet.gov.bd/

বাংলাদেশ ওভারসীজ এপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লি: (বোয়েসেল)
বিদেশে চাকরি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিগুলো আপনারা এখানে থেকে পেতে পারেন। বিদেশে কর্মসংস্থানে বোয়েসেল বাংলাদেশ সরকারের বৈধ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। বোয়েসেল চুক্তি ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকিট ইত্যাদির ব্যবস্থা করে থাকে। বোয়েসেল ঢাকাস্থ ইস্কাটনের বোরাক টাওয়ারের পাশে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের চতুর্থ তলায় অবস্থিত। আরো জানতে নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/boesl.gov.bd/

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)
লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সমন্বয়ের কাজটি করে থাকে বায়রা। তারা বাংলাদেশিদের জন্য বহির্বিশ্বে উপযুক্ত চাকরির বাজার খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড (ডব্লিউ.ই.ডব্লিউ.বি)
অভিবাসীদের এবং দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘস্থায়ী এবং অর্থবহ কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য এই কল্যাণ বোর্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একজন অভিবাসীর মৃতদেহ বহন এবং দাফন করার জন্য যদি আপনার সহযোগিতার প্রয়োজন হয় এবং নিহত অভিবাসীর পরিবারের সদস্য হিসেবে আর্থিক অনুদানের দরকার হয় তবে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যদি প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় কোন প্রকার দুর্ঘটনার স্বীকার হন কিংবা অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয় তাবে এই বোর্ডের কাছ থেকে আপনি আর্থিকভাবে সহয়তা পেতে পারেন। এছাড়াও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রতিব›দ্ধী ও অসুস্থ অভিবাসীদের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, অভিবাসীদের সন্তানদের বৃত্তি প্রদান এবং নির্যাতনের শিকার নারী অভিবাসীদের দেশে ফিরে আসা ও নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করে থাকে। এদের অফিসও প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অবস্থিত। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অন্যান্য পরিষেবাগুলি সম্পর্কে জানতে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন: http://www.wewb.gov.bd/

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
অভিবাসী ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ এবং ব্যাকিং পরিষেবার জন্য আপনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন এদের শাখার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। ক্লিক করুন এই লিঙ্কে: http://pkb.gov.bd/

পাসপোর্ট অফিস
বিদেশ ভ্রমণ করতে হলে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি যদি নিজের দেশের সীমানা অতিক্রম করতে চান তবে অবশ্যই আপনার একটি পাসপোর্ট দরকার হবে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন বা শারীরিকভাবে আবেদন জমা দিতে পারেন। সদ্য চালু হওয়া ই-পাসপোর্টের জন্যও আপনি আবেদন করতে পারেন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং পাসপোর্ট অফিস অবস্থিত। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদন এবং এর বিধি ও পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন: http://www.passport.gov.bd/Default.aspx

গ্যামকা (জিএএমসিএ)
আপনি যদি উপসাগরীয় কোন দেশ (সৌদি আরব, ওমান, কাতার ইত্যাদি) যেতে চান তবে আপনাকে অনুমোদিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করে শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট নিতে হবে। এই চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি সম্মিলিতভাবে জিসিসি অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার এসোসিয়েশন (গ্যামকা) নামে পরিচিত।
গ্যামকা স্লিপ পেতে আপনি রিক্রুটিং এজেন্সির সহায়তা চাইতে পারেন অথবা গ্যামকার ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: https://v2.gcchmc.org/

এ বিষয়ে আরো তথ্য পেতে এমআরসি’র ঢাকা এবং কুমিল্লা অফিসে নি:সঙ্কোচে যোগাযোগ করতে পারেন।

দেশে ফিরে আসার পর

আপনি এখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। বিদেশে কাজের মধ্য দিয়ে আপনি যে দক্ষতা অর্জন করেছেন তা হস্তান্তরযোগ্য। এখন আপনি আপনার এই দক্ষতা মাতৃভূমিতে, নতুন কর্মক্ষেত্রে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতায় সম্ভবত আপনি নিজ দেশে একই ধরনের কোনও চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন। অথবা নিজস্ব চেষ্টায় নতুন কোন উদ্যোগ শুরু করতে পারেন। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হতে চান তবে আপনার বিদেশের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন এবং উদ্ভাবনী ধারনার প্রয়োগ ঘটিয়ে নতুন ব্যবসার সম্ভবনা সৃষ্টি করুন। এক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব সঞ্চয় কাজে লাগান এবং ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করুন।

তবে কিছু কিছু প্রত্যাবাসিত অভিবাসী গন্তব্য দেশে কিছু অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আপনি নির্যাতন ও প্রতারণার স্বীকার হতে পারেন এবং জোর করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করার আপনার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

আপনি আপনার অভিযোগটি অনলাইনে জানাতে পারেন। এই ক্ষেত্রে বিএমইটি আপনাকে সহায়তা করবে। www.ovijogbmet.org - এই ওয়েবসাইটে যান, ফর্মটি পূরণ করুন এবং ঘটনাটি বর্ণনা করুন। অভিযোগ জমা দেওয়ার পরে আপনাকে একটি পিন নাম্বার দেয়া হবে। যার মাধ্যমে আপনি অভিযোগের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হলো সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি সরাসরি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কিংবা প্রথম শ্রেণির মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করতে পারেন।

পরামর্শের জন্য আপনি এমআরসি’তেও আসতে পারেন। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আপনাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারি।  এই পরিষেবাটির জন্য আমদেরকে কোন খরচ দিতে হবে না। চাপ কাটিয়ে উঠতে এমআরসি-র পরামর্শদাতারা আপনাকে মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শও প্রদান করে থাকেন। এই সেবাটি অতি গোপনীয়, ব্যক্তিগত এবং বিনামূল্যে।